"শেষ ট্রেনের অপেক্ষায়”

রাত্রি ১০টা, প্ল্যাটফর্ম প্রায় ফাঁকা। সবার বাড়ি ফেরার তাড়া, কিন্তু একটা মেয়ের চোখ শুধু একদিকে চেয়ে—লাইন বরাবর। নাম তার ঈরা।

প্রতিদিন এই সময়ে সে আসে, বসে থাকে। ট্রেন আসে, যায়—কিন্তু সে কারো জন্য অপেক্ষা করে।

একদিন প্ল্যাটফর্মে কাজ করা একজন কুলি জিজ্ঞেস করল,
“আপনি কাকের জন্য প্রতিদিন অপেক্ষা করেন?”

ঈরা মুচকি হেসে বলল,
“অভির জন্য। সে ফিরবে—এই শেষ ট্রেনেই।”

ছয় বছর আগে অভি আর ঈরার প্রেম শুরু হয় এই প্ল্যাটফর্মেই। হঠাৎ একদিন অভি চাকরির খোঁজে অন্য শহরে গেল, বলেছিল—“ফিরবো, শেষ ট্রেনেই ফিরবো।”

লোকে বলে অভি আর ফিরবে না। কিন্তু ঈরা জানে, প্রেম মানে প্রতিশ্রুতি, আর প্রতিশ্রুতি মানে অপেক্ষা।

আর সেদিন—ঠিক রাত ১০:৪৫-এ—একটা পুরনো ব্যাগ হাতে অভি প্ল্যাটফর্মে নামল।

চোখে জল নিয়ে বলল,
“তুই আসবি জানতাম... তাই ফিরলাম।”

চুপিচুপি বলা ভালোবাসা জীবনের প্রতিটা সকাল একরকম হয় না। কিছু সকাল ভীষণ রঙিন, আবার কিছু সকাল শুরু হয় গভীর শূন্যতা নিয়ে। জুলকর নাইন-এর সকালগুলো ঠিক এমনই—একধরনের অপূর্ণতা, একরাশ না বলা কথা নিয়ে শুরু হয় তার দিন। জুলকরের জীবনের গল্পটা শুরু হয়েছিল এক মাদ্রাসা থেকে—শংকরপাশা নূরানী হাফেজিয়া মাদ্রাসা। সেখানেই প্রথম দেখা ছাইমার সঙ্গে। সেই মেয়ে, যার চোখে ছিল এক অনুচ্চারিত প্রশান্তি, মুখে ছিল নিঃশব্দ মায়া। জুলকর তখন জানতো না, এই মেয়েটাই একদিন তার হৃদয়ে এতো গভীর করে জায়গা করে নেবে। তাদের মাঝে কাটে দুই বছর—ক্লাস, পড়ালেখা, দোয়া, কিছু হেসে নেওয়া মুহূর্ত। তারপর জীবনের বাঁকে আসে পরিবর্তন। জুলকর ভর্তি হয় মারকাজুল উলুম আল ইসলামিয়া মাদ্রাসা-তে। আর কাকতালীয়ভাবে ছাইমাও আসে সেখানে। সেখানে আরও এক বছর তাদের একসাথে কাটে। কিন্তু ওই এক বছরে, আগের দুই বছরের থেকে অনেক বেশি অনুভব জমে জুলকরের মনে। সেই অনুভবের নাম—ভালোবাসা। তবুও সে কিছু বলে না। ছাইমার আরেকটি নাম ছিল—কৌশিক। এই নামটিও জুলকরের হৃদয়ের এক সুরক্ষিত কোণে জায়গা করে নেয়, যেটা সে কাউকে কখনো বলেনি। প্রতিবার ভাবতো, “আজ বলবো।” কিন্তু তারপরই থেমে যেত। কারণ? জুলকর জানতো, তার জীবন এখনো তৈরি হয়নি। সে এখনো নিজের পথে হাঁটছে—বিশেষ করে ট্রেডিং-এর জগতে নিজের জায়গা তৈরির চেষ্টা করছে। সে প্রতিজ্ঞা করেছে—যেদিন ট্রেডিং-এ সফল হব, সেদিনই ছাইমাকে বলবো। তার আগ পর্যন্ত না। কারণ আমি যদি তাকে পেয়েও যাই, তাকে কীভাবে চালাবো? কীভাবে নিশ্চিত করবো তার স্বপ্নগুলোর দায়িত্ব নিতে পারবো? এই দ্বিধা আর বাস্তবতা তাকে চুপ করিয়ে রেখেছে সবসময়। ছাইমা, হয়তো আজও জানে না, জুলকর তাকে কতটা ভালোবেসে ফেলেছে। হয়তো সে ভাবে, “সে তো শুধুই সহপাঠী ছিল।” কিন্তু বাস্তবটা হলো, জুলকর তাকে এমনভাবে ভালোবেসেছে—যা বলা হয়নি, তবুও প্রতিদিন প্রার্থনায় ঠাঁই পেয়েছে। একদিন যদি ট্রেডিং-এ সত্যিকারের সফল হয়, নিজের পরিচয় গড়তে পারে, তাহলে হয়তো সে বুক ফুলিয়ে ছাইমাকে বলবে— “তোমায় অনেক আগেই ভালোবেসেছিলাম, শুধু তোমার কাছে নিজেকে যোগ্য করে তোলার জন্য অপেক্ষা করছিলাম।” আর যদি সেই দিন না আসে? তবে এই ভালোবাসা থাকবে জুলকরের হৃদয়ে—একটা নীরব, চিরন্তন অনুভব হয়ে। কখনো বলা হবে না, কিন্তু কোনো দিন মুছে যাবে না। সব ভালোবাসা বলা হয় না। কিছু ভালোবাসা বুকে লুকিয়ে রাখা হয়, যত্ন করে, সারা জীবন

"শেষ ট্রেনের অপেক্ষায়”

রাত্রি ১০টা, প্ল্যাটফর্ম প্রায় ফাঁকা। সবার বাড়ি ফেরার তাড়া, কিন্তু একটা মেয়ের চোখ শুধু একদিকে চেয়ে—লাইন বরাবর। নাম তার ঈরা।

প্রতিদিন এই সময়ে সে আসে, বসে থাকে। ট্রেন আসে, যায়—কিন্তু সে কারো জন্য অপেক্ষা করে।

একদিন প্ল্যাটফর্মে কাজ করা একজন কুলি জিজ্ঞেস করল,
“আপনি কাকের জন্য প্রতিদিন অপেক্ষা করেন?”

ঈরা মুচকি হেসে বলল,
“অভির জন্য। সে ফিরবে—এই শেষ ট্রেনেই।”

ছয় বছর আগে অভি আর ঈরার প্রেম শুরু হয় এই প্ল্যাটফর্মেই। হঠাৎ একদিন অভি চাকরির খোঁজে অন্য শহরে গেল, বলেছিল—“ফিরবো, শেষ ট্রেনেই ফিরবো।”

লোকে বলে অভি আর ফিরবে না। কিন্তু ঈরা জানে, প্রেম মানে প্রতিশ্রুতি, আর প্রতিশ্রুতি মানে অপেক্ষা।

আর সেদিন—ঠিক রাত ১০:৪৫-এ—একটা পুরনো ব্যাগ হাতে অভি প্ল্যাটফর্মে নামল।

চোখে জল নিয়ে বলল,
“তুই আসবি জানতাম... তাই ফিরলাম।”

"শেষ ট্রেনের অপেক্ষায়”

রাত্রি ১০টা, প্ল্যাটফর্ম প্রায় ফাঁকা। সবার বাড়ি ফেরার তাড়া, কিন্তু একটা মেয়ের চোখ শুধু একদিকে চেয়ে—লাইন বরাবর। নাম তার ঈরা।

প্রতিদিন এই সময়ে সে আসে, বসে থাকে। ট্রেন আসে, যায়—কিন্তু সে কারো জন্য অপেক্ষা করে।

একদিন প্ল্যাটফর্মে কাজ করা একজন কুলি জিজ্ঞেস করল,
“আপনি কাকের জন্য প্রতিদিন অপেক্ষা করেন?”

ঈরা মুচকি হেসে বলল,
“অভির জন্য। সে ফিরবে—এই শেষ ট্রেনেই।”

ছয় বছর আগে অভি আর ঈরার প্রেম শুরু হয় এই প্ল্যাটফর্মেই। হঠাৎ একদিন অভি চাকরির খোঁজে অন্য শহরে গেল, বলেছিল—“ফিরবো, শেষ ট্রেনেই ফিরবো।”

লোকে বলে অভি আর ফিরবে না। কিন্তু ঈরা জানে, প্রেম মানে প্রতিশ্রুতি, আর প্রতিশ্রুতি মানে অপেক্ষা।

আর সেদিন—ঠিক রাত ১০:৪৫-এ—একটা পুরনো ব্যাগ হাতে অভি প্ল্যাটফর্মে নামল।

চোখে জল নিয়ে বলল,
“তুই আসবি জানতাম... তাই ফিরলাম।”

"শেষ ট্রেনের অপেক্ষায়”

রাত্রি ১০টা, প্ল্যাটফর্ম প্রায় ফাঁকা। সবার বাড়ি ফেরার তাড়া, কিন্তু একটা মেয়ের চোখ শুধু একদিকে চেয়ে—লাইন বরাবর। নাম তার ঈরা।

প্রতিদিন এই সময়ে সে আসে, বসে থাকে। ট্রেন আসে, যায়—কিন্তু সে কারো জন্য অপেক্ষা করে।

একদিন প্ল্যাটফর্মে কাজ করা একজন কুলি জিজ্ঞেস করল,
“আপনি কাকের জন্য প্রতিদিন অপেক্ষা করেন?”

ঈরা মুচকি হেসে বলল,
“অভির জন্য। সে ফিরবে—এই শেষ ট্রেনেই।”

ছয় বছর আগে অভি আর ঈরার প্রেম শুরু হয় এই প্ল্যাটফর্মেই। হঠাৎ একদিন অভি চাকরির খোঁজে অন্য শহরে গেল, বলেছিল—“ফিরবো, শেষ ট্রেনেই ফিরবো।”

লোকে বলে অভি আর ফিরবে না। কিন্তু ঈরা জানে, প্রেম মানে প্রতিশ্রুতি, আর প্রতিশ্রুতি মানে অপেক্ষা।

আর সেদিন—ঠিক রাত ১০:৪৫-এ—একটা পুরনো ব্যাগ হাতে অভি প্ল্যাটফর্মে নামল।

চোখে জল নিয়ে বলল,
“তুই আসবি জানতাম... তাই ফিরলাম।”

"শেষ ট্রেনের অপেক্ষায়”

রাত্রি ১০টা, প্ল্যাটফর্ম প্রায় ফাঁকা। সবার বাড়ি ফেরার তাড়া, কিন্তু একটা মেয়ের চোখ শুধু একদিকে চেয়ে—লাইন বরাবর। নাম তার ঈরা।

প্রতিদিন এই সময়ে সে আসে, বসে থাকে। ট্রেন আসে, যায়—কিন্তু সে কারো জন্য অপেক্ষা করে।

একদিন প্ল্যাটফর্মে কাজ করা একজন কুলি জিজ্ঞেস করল,
“আপনি কাকের জন্য প্রতিদিন অপেক্ষা করেন?”

ঈরা মুচকি হেসে বলল,
“অভির জন্য। সে ফিরবে—এই শেষ ট্রেনেই।”

ছয় বছর আগে অভি আর ঈরার প্রেম শুরু হয় এই প্ল্যাটফর্মেই। হঠাৎ একদিন অভি চাকরির খোঁজে অন্য শহরে গেল, বলেছিল—“ফিরবো, শেষ ট্রেনেই ফিরবো।”

লোকে বলে অভি আর ফিরবে না। কিন্তু ঈরা জানে, প্রেম মানে প্রতিশ্রুতি, আর প্রতিশ্রুতি মানে অপেক্ষা।

আর সেদিন—ঠিক রাত ১০:৪৫-এ—একটা পুরনো ব্যাগ হাতে অভি প্ল্যাটফর্মে নামল।

চোখে জল নিয়ে বলল,
“তুই আসবি জানতাম... তাই ফিরলাম।”

"শেষ ট্রেনের অপেক্ষায়”

রাত্রি ১০টা, প্ল্যাটফর্ম প্রায় ফাঁকা। সবার বাড়ি ফেরার তাড়া, কিন্তু একটা মেয়ের চোখ শুধু একদিকে চেয়ে—লাইন বরাবর। নাম তার ঈরা।

প্রতিদিন এই সময়ে সে আসে, বসে থাকে। ট্রেন আসে, যায়—কিন্তু সে কারো জন্য অপেক্ষা করে।

একদিন প্ল্যাটফর্মে কাজ করা একজন কুলি জিজ্ঞেস করল,
“আপনি কাকের জন্য প্রতিদিন অপেক্ষা করেন?”

ঈরা মুচকি হেসে বলল,
“অভির জন্য। সে ফিরবে—এই শেষ ট্রেনেই।”

ছয় বছর আগে অভি আর ঈরার প্রেম শুরু হয় এই প্ল্যাটফর্মেই। হঠাৎ একদিন অভি চাকরির খোঁজে অন্য শহরে গেল, বলেছিল—“ফিরবো, শেষ ট্রেনেই ফিরবো।”

লোকে বলে অভি আর ফিরবে না। কিন্তু ঈরা জানে, প্রেম মানে প্রতিশ্রুতি, আর প্রতিশ্রুতি মানে অপেক্ষা।

আর সেদিন—ঠিক রাত ১০:৪৫-এ—একটা পুরনো ব্যাগ হাতে অভি প্ল্যাটফর্মে নামল।

চোখে জল নিয়ে বলল,
“তুই আসবি জানতাম... তাই ফিরলাম।”