"ধৈর্যের শক্তি”
রঞ্জন ছিল এক অফিসের ম্যানেজার, কাজের চাপে সারাদিন টেনশনে থাকত। বাসায় ফিরেই হঠাৎ হঠাৎ রেগে যেত। ছোট ছোট কারণে চেঁচামেচি করত। তার স্ত্রী মিতা কিছু বলত না—শুধু চুপচাপ শুনে যেত, হাসিমুখে সেবা করত।
প্রতিদিন মিতা চা বানিয়ে দিত, জামা রেডি করে দিত, আর রঞ্জনের গলা শুনেই বুঝে ফেলত, আজ ওর মেজাজ ভালো না।
একদিন রঞ্জন খুব রেগে গিয়ে মিতাকে বলল,
"তুমি কিছু বলো না কেন? আমি রেগে থাকলে চুপ করে থাকো, মানে কি সব ঠিক আছে?"
মিতা মুচকি হেসে বলল,
"কারণ তুমি আমার রাগের শত্রু না, তুমি আমার ভালোবাসার মানুষ। তুমি বাইরে যতই ক্লান্ত হও, আমি চাই তুমি বাড়িতে শান্তি পাও।"
রঞ্জন থমকে গেল। কেমন যেন লজ্জা পেল নিজের ওপর। চুপ করে চলে গেল বারান্দায়। সেদিন রাতে সে প্রথমবার মিতার জন্য এক কাপ চা বানিয়ে আনল।
বলল,
"তুমি যে ধৈর্য ধরো, সেটাই আমাকে বদলাতে শেখাল।"